গত ২৪ আগষ্ট/২০২০ নওগাঁ জেলার সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে নওগাঁ পৌরসভা ব্লকের কোমাইগাড়ী গ্রামের কৃষক মো: পাইলট হোসেনের জমিতে ব্রিধান-৮২ জাতের আউশ ধান কর্তন করা হয়। 

নওগাঁ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ একেএম মফিদুল ইসলামের সভাপত্বিতে ধান কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ জনাব সুধেন্দ্র নাথ রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ জনাব মো: শামছুল ওয়াদুদ এবং জেলা প্রশিক্ষন অফিসার কৃষিবিদ জনাব মো: রবিআহ নূর আহম্মেদ। 

রৌর্দ্রজ্জল সকালে কৃষক মো: পাইলট হোসেনের জমিতে এক অনাড়ম্বর পরিবেশে ২০ বর্গমিটার মাপের জমিতে ব্রিধান-৮২ জাতের আউশ ধান কর্তন করা হয়। কর্তন করে মাড়াই-ঝাড়াই করে শুকনা চালে হেক্টরে ২.৮ মে:টন ফলন পাওয়া যায়।

ধান কর্তন শেষে আলোচনায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, নওগাঁ সদর উপজেলা হচ্ছে ধান উৎপাদনের উন্নতম এলাকা। বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের আউশ প্রনোদনা সহায়তা কাজে লাগিয়ে বোরো ও আমন ধান চাষের মাঝামাঝি সময়ে আউশ ধানের আবাদ করে কৃষক বেশ লাভবান হচ্ছে। এবছর সদর উপজেলাতে আউশের মোটামুটি বেশ ভাল আবাদ হয়েছে এবং ফলনও ভাল হচ্ছে যা নমুনা শস্য কর্তনের মাধ্যমে সহজেই প্রতিয়মান হচ্ছে। নওগাঁ জেলার অন্যান্য উপজেলার মত সদর উপজেলাতে বিভিন্ন রকমের সবজির পাশাপাশি মোটামুটি ভাল ধান উৎপাদন হয়ে থাকে। তাই আমন ও বোরো ধানের পাশাপাশি অল্প খরচে আউশ ধানের আবাদ করে কৃষক বেশ লাভবান হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে তিনি উপস্থিত কৃষকভাইদের ধান চাষের  পাশাপাশি ফল বাগান স্থাপনসহ গম, ভুট্টা, ডাল, তেল ও বিভিন্ন শাক-সবজি চাষে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।

ধান কর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতি তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, বিগত বছরের তুলনায় নওগাঁ সদরে রোপা আউশ ধানের আবাদ ব্যাপক ভাবে শুরু হয়েছে এবং ফলনও ভাল পাওয়া যাচ্ছে যা নমুনা কর্তনের মাধ্যমে ফলন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। তবে তিনি বলেন, আউশ ধান স্বল্প সময়ে কম খরচে আবাদ করা যায় এবং সরকার কর্তৃক প্রনোদনা সহায়তা কাজে লাগিয়ে আউশ আবাদ বৃদ্ধির অনুরোধ জানান। তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের মাঠ কর্মীগণ কৃষকের পাশে থেকে পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে ফসল উৎপাদনে সহায়তাদানে আশ্বাস প্রদান করেন।

নমুনা কর্তন অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ প্রায় ৪০ জন আদর্শ কৃষক উপস্থিত ছিলেন।